বাগেরহাট জেলায় হু-হু করো বাড়ছে করোনা সংক্রামণ। গত ২৪ ঘন্টায় বাগেরহাট জেলায় নুতন করে ৪৫ জনে করোনা শনাক্ত হয়েছে। করোনা আক্রান্ত মোংলা উপজেলায় ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
নুতন করে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছে মোংলা উপজেলায় ২০ জন, মোড়েলগঞ্জে ১৪ জন, সদর উপজেলায় ৭ জন, শরণখোলায় ২ জন, রামপালে ১ জন ও চিতলমারীতে ১ জন। মোংলায় করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এ পর্যন্ত জেলায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৭২৪ জন। মৃত্যু হয়েছে ৪৬ জনের। এখন সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৫৪ জন। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
মোংলা ৮ দিনের কঠোর বিধি নিষেধ চলমান রয়েছে। কঠোর করোনা বিধি নিষেধ ৬ষ্ঠ দিন শুক্রবার পুলিশ, আনসার ও স্বেচ্ছাসেবকেরা মোংলা শহরে প্রবেশ মুখে ব্যারিকেড বসিয়ে যানবাহন ও লোকজন চলাচল বন্ধ করতে পারছেনা। কঠোর বিধি নিষেধের মধ্যেও শহরে লোকজন ও যানবাহনের চলাচল প্রথম দুইদিনের তুলনায় বেড়েই চলেছে। কোথাও কোথাও দোকানপাট খোলা থাকতে দেখা গেছে। অধিকাংশ লোকজন চলাচল করছে মাস্ক বিহীন অবস্থায়। ঢিলেঢালা ভাবে চলছে প্রশাসনের কঠোর বিধি নিষেধ।
এদিকে শুক্রবার সকাল ১১টায় বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ সংক্রান্ত জেলা মুনটরিং কমিটির মতবিনিময় সভায় বাগেরহাটে করোনা সংক্রামণ রোধে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে পাশাপশি প্রয়োজনে আইন প্রয়োগ, প্রতিটি উপজেলায় জন সচেতনতা বাড়াতে মাইকিং, লিফলেট, মাস্ক বিতরণসহ মসজিদ ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে প্রচারণা চালানো ছাড়াও আড্ডা কমাতে টিস্টলসহ দোকানগুলোতে টিভি এবং ক্যারামবোর্ড খেলা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন বাগেরহাটের পুলিশ সুপার কে এম আরিফুল হক, জেলা সিভিল সার্জন ডা. কে, এম, হুমায়ুন কবির, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খোন্দকার মোহম্মদ রিজাউল করিম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. শাহিনুজ্জামান ও স্থানীয় সরকার ভিভাগের উপ-পরিচালক দেব প্রসাদ পাল।